,

মাধবপুরে মডেল মসজিদ নির্মাণে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা ছাড়া সামগ্রী ব্যবহার

রাজীব দেব রায় রাজু, মাধবপুর : সরকার সারা দেশে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় মাধবপুর পৌর শহরের মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। মাধবপুর মনতলা সড়কের মাধবপুর পৌর শহরের আলাকপুর নামক স্থানে নির্মাণ হচ্ছে এই মডেল মসজিদ। নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে আসলেও মডেল মসজিদ নির্মাণে কত টাকা বরাদ্দ, কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্টান কাজ করছেন, কবে শেষ হবে কাজ এই বিষয়ে জানে না পৌরসভার সচেতন লোকজন। সরকারি কোন স্থাপনা নির্মাণ শুরু করার আগে কাজের পাশে একটি সাইনবোর্ড লাগানোর নিয়ম থাকলেও নেই কোন সাইনবোর্ড। অথচ জেলা গনপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা দাবি করছেন সাইনবোর্ড ছিল। কিন্তু খোঁজেও সেখানে কোন সাইনবোর্ড পাওয়া যায়নি। ২০১৯ সালে নির্মাণ কাজ শুরু করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এমএস মোস্তফা কামাল এন্টার প্রাইজ প্রথম দিকে খুবই ধীরগতিতে কাজ করলেও এখন দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, মসজিদ নির্মাণ কাজে যে রড ব্যবহার করা হচ্ছে সে গুলোতে জং ধরা। লাল বর্ন ধারন করেছে রড গুলো। যে পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে সে গুলা ময়লা, ইটের মান খুবই নিম্ন মানের। দুর থেকে দেখলেই বুজা যায় ইট গুলো মানহীন। কিন্তু গনপূর্ত বিভাগের চোখেই যেন এই সব পড়ে না। মসজিদ নির্মাণ কাজে গনপূর্ত বিভাগের একজন কর্মকর্তা এটি তদারকি করার দায়িত্বে থাকলেও তিনি যেন কিছুই দেখেন না। মসজিদের দ্বিতীয় তলায় একটি কলাম বাঁকা হয়ে রয়েছে। সাদা চোখে দেখলেই এটি ধরা পড়ে। যে বালু ব্যবহার করা হচ্ছে সেটির এফএম কত তাও বলতে পাড়েনি দায়িত্বরত সাইট ইঞ্জিনিয়ার। এই নির্মাণ কাজে যে ইট, রড, সিমেন্ট ব্যবহার করা হচেছ সে গুলো কোন জায়গা থেকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে এমন প্রশ্নে। দায়িত্বরত সাইট ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল ইসলাম জানান সে গুলো তিনি জানেন না। ইঞ্জিনিয়ার ও গনপূর্ত অফিস জানেন।
নিয়ম অনুযায়ী যেখানে কাজ হবে সেখানে এক সেট কাগজ করার কথা থাকলেও সেখানে কোন কাগজপত্র দেখাতে পাড়েন নি সাইট ইঞ্জিনিয়ার।
এই ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা গনপূর্ত বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী মোহাঃ জাকির হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রড, ইট, পরীক্ষা করেই কাজ করা হচ্ছে। ইঞ্জিনিয়ার পরীক্ষা নিরীক্ষার কাগজপত্র দেখাতে পাড়েনি কেন এমন প্রশ্নে তিনি জানান, হয়ত সাংবাদিক চিনতে পাড়েনি। নির্মাণ কাজের স্থানে কোন সাইনবোর্ড নেই কেন এমন প্রশ্নে তিনি কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে যান। তিনি দাবি করেন এখানে সাইনবোর্ড ছিল। কিন্তু এই নিবার্হী প্রকৗশলীকে সাইনবোর্ড নেই চ্যালেঞ্জ করা হলে তিনি বলেন বিষয়টি তিনি দেখবেন।


     এই বিভাগের আরো খবর